গাছের নীচে ওটা কী হুড়মুড়িয়ে ভিড় করলেন বাসিন্দারা যা মিলল তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ

গাছের নীচে ওটা কী হুড়মুড়িয়ে ভিড় করলেন বাসিন্দারা যা মিলল তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ

বর্ধমানের গোলাপবাগে দেখা মিলল সবুজ রঙের ক্যামেলিয়ন। সাধারণত গাছেই থাকে। গাছ থেকে নেমে নীচে চলে এসেছিল বাসিন্দাদের কাছাকাছি এসেছিল গিরগিটি প্রজাতির প্রাণীটি। সবুজ রঙের গিরগিটি সাধারণত দেখা যায় না। তাই তাকে দেখে কৌতূহলী বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দেয়।

বন দফতরের কর্মীরা ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। রবিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের কাছে তাকে প্রথম দেখা যায়। দেখতে পান স্থানীয়রা। ক্যামেলিয়নটি প্রায় এক ফুট লম্বা।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের প্রধান বিশেষত্ব যখন তখন তারা শরীরের রং পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত এরা গাছের ডালে ও পাতার সঙ্গে নিজেদের শরীরের রং এক করে মিশে থাকে। তাই খালি চোখে সচরাচর এদের দেখতে পাওয়া যায় না। এদিন কোনও কারণে গাছ থেকে পড়ে গিয়েই হোক বা নীচে নেমে আসার কারণে মাটির রঙের সঙ্গে এই ক্যামেলিয়ানের দেহের সবুজ রংয়ের বদল হয়নি। তাই তা কিছু মানুষের নজরে চলে আসে।

আরও জানা গিয়েছে, এর আগে মেমারি থেকেও একটি ক্যামেলিয়ান উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। রমনা বাগানে এই গিরগিটি প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে মধ্যে দেখাও মেলে। তবে এরা কোনও ভাবেই ক্ষতিকারক বা বিষধর নয়। ছোট পোকামাকড় ও পিঁপড়ে জাতীয় পতঙ্গ খেয়ে এরা বেঁচে থাকে।২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২০২টি প্রজাতির ক্যামেলিয়নের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

শারীরিক গঠনগত ভাবে এদের চেনার বিশেষ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যেমন এদের লম্বা লেজের শেষ প্রান্ত কিছুটা গোটানো থাকে। এর থেকে এরা শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। তাই ক্যামেলিয়নের লেজকে পঞ্চম অঙ্গ হিসেবে ধরা হয়। এদের মুখের ভিতরে গোটানো অবস্থায় সরু জিভ থাকে। যা দিয়ে কিছুটা দূরের খাদ্যকে সহজেই গিলে নিতে পারে এরা। এদের দৃষ্টি শক্তি খুবই প্রখর। চোখ পার্শ্বীয়ভাবে ১৮০° এবং উল্লম্বভাবে ১৬০° নড়াচড়া করতে সক্ষম। ক্যামেলিয়ান প্রজাতির এই গিরগিটিদের আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ ইউরোপ, শ্রীলঙ্কা সহ দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই দেখা মেলে।