চুলকানি থেকে বাঁচতে যা করবেন

চুলকানি থেকে বাঁচতে যা করবেন

মাথার খুলি থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত আপনার চামড়ার ওপর যেসব রোগ হয় সেগুলো চর্মরোগ।যেগুলির মধ্যে রয়েছে খুজলি, দাদ, বিখাউজ, একজিমা, চুলকানি, বিচি-পাসরা, গোটা-গাটা। কোলভাগে, কানে, আঙুলের চিপায়-চাপায় সারা শরীরে খাউজানি, চুলকানি, বিচি-পাঁচড়া, ঘা গোটা গাটায় ভরে গেছে।

বিশেষ করে মা-বোনদের মাজায় বা কোমরে একধরনের দাদ হয়। অসহ্য চুলকানি হয়, মরিচের মতো জ্বলে। রাস্তার ধারে কিছু মলম বিক্রি হয়। সেগুলি দিয়ে অবশ্য এই চর্মরোগ সারানো সম্ভব হয় না। উল্টে এটা বেড়ে যেতে পারে। চুলকানি একটা বিরক্তিকর ব্যাধির নাম। যখন চুলকায় তখন কিন্তু আরাম লাগে। কিন্তু চুলকানি শেষ হলে শুরু হয় আসল খেলা-জ্বলুনি। অনেক সময় মনে হয় যেন মরিচবাটা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুলকানি কী, এটা কেন হয়, এর উপসর্গ ও ফলাফল কী-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার।

এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ যন্ত্রণাভোগ করতে হতে পারে। ক্ষণিকের মধ্যে শরীরের কিছু স্থানে চাকাচাকা ফুসকুড়ি বেরিয়ে যায়। সেই স্থান লাল হয়ে ফুলে ওঠে। চুলকানির অ্যাটাক মাঝে মধ্যেই যত্রতত্র শুরু হয়ে যায় অনেকেরই। কমে যাচ্ছে ভেবে কিছুক্ষণ চুলকানি সহ্য করে নিলেই সমস্যার সমাধান মনে করেন। এতে আশ্বস্ত না হয়ে চিকিত্‍সকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি। চুলকানি হল লক্ষণ আর অ্যালার্জি হল কারণ। যা অ্যালার্জেন্স ঘটিত। অ্যালার্জিতে তাঁরাই বেশি আক্রান্ত যাঁদের রক্তে ইওসিনোফিলের মাপ বেশি। বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও চুলকানিটা একটা লক্ষণ, কারণ শরীরের অ্যালার্জেনের প্রতিক্রিয়া বা বহিঃপ্রকাশ হল ইনফ্লেমেশন অর্থাত্‍ জ্বালা-যেটা চুলকানির রূপে প্রকাশ পায়। এটি থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন টি-ট্রি অয়েল। এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার দুর্দান্ত উপায়। টি-ট্রি অয়েলও ত্বকের অ্যালার্জিতে খুব সহায়ক। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিআইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অনেক ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়। । ত্বকের লালচেভাব এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে টি-ট্রি অয়েল একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এছাড়া আপেল সিডার ভিনিগার, নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল। এগুলির মাধ্যমে চুলকানি সেরে যাবে। আর না সারলে চিকিত্‍সকরে কাছে যান।