সরকারি বাসের ভিতরই কি না এইসব কাজ 'নিরীহ' দেখতে ছেলেটাকেই পাকড়াও করল বিএসএফ

সরকারি বাসের ভিতরই কি না এইসব কাজ 'নিরীহ' দেখতে ছেলেটাকেই পাকড়াও করল বিএসএফ

 সরকারি বাসের মধ্যে তল্লাশি চালাতেই চোখ বিস্ফারিত বিএসএফ আধিকারিকদের। বাসের মধ্যেই কি না পাচার হচ্ছে সোনার বিস্কুট! যদিও, নজর এড়ায়নি নিরাপত্তারক্ষীদের। ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হয় সোনা ও লক্ষাধিক টাকা।

পাচারের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম উদ্ধার হল সাতটি সোনার বিস্কুট।

সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ৪১ লক্ষ্য টাকা। রবিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফের ৬১ নম্বর জওয়ানরা পতিরাম বাজারে মালদাগামী একট সরকারি বাসে বিশেষ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে বিএসএফ। এরপর ওই যুবকের তল্লাশি নিলে তার কাছ থেকে সাতটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা। ৭ টি সোনার বিস্কুটের ওজন ৪ কেজি ৯৮০ গ্রাম। একটির ওজন প্রায় ৮১৬ গ্রাম। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের বাজার মূল্য ৪০ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৩ টাকা।

ধৃতের নাম প্রশান্ত বিশ্বাস(৩৪)। বাড়ি হিলি থানার রাইনগর এলাকায়। বিএসএফের পক্ষ থেকে এ দিন সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়ার সোনার বিস্কুট এবং ধৃত যুবককে বালুরঘাটে শুল্ক দফতরের হাত তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই সোনা পাচার চক্রে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামে অবস্থিত বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হেড কোয়ার্টার। সোমবার সকালে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর আসে বালুরঘাট থেকে সোনার বিস্কুট মালদাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারি বাসে করেই সোনার বিস্কুটগুলি পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ দিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পতিরাম বাজার এলাকায় বিশেষ তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। এরপর একটি সরকারি বাসে তল্লাশি শুরু করলে সন্দেহভাজন এক ভারতীয় যুবককে দেখতে পায় বিএসএফ। এরপর তার তল্লাশি নিলে পরে সাতটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।

ধৃত ওই যুবককে শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কে বা কারা সোনার বিস্কুট গুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করছিল এবং কী কারণে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে।