দুবাইয়ে আইফোনের দাম এতো কম কেন? ভারত থেকে কেন ছুঁটে যায় মানুষ?

দুবাইয়ে আইফোনের দাম এতো কম কেন? ভারত থেকে কেন ছুঁটে যায় মানুষ?

ম্প্রতি লঞ্চ হয়েছে আইফোন ১৪ সিরিজ (iPhone 14), অ্যাপেলের (Apple) ফ্ল্যাগশিপ প্রিমিয়াম স্মার্টফোন। যার জন্য কার্যত ভিড় জমেছে দোকানের বাইরে। তবে সেটি ভারতে নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে জনবহুল শহর দুবাইয়ে। এই তো কিছুদিন আগেই কেরালার এক ব্যক্তি নতুন আইফোন কিনতে ভারত থেকে পাড়ি দিয়েছেন দুবাইয়ে।

সাম্প্রতিক এক তথ্য বলছে, দুবাই শপিং মলে এই আইফোন বিক্রি শুরু হতেই মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ স্টক শেষ হয়ে যায়।

আইফোন ভক্তদের মধ্যে এমন উন্মাদনা সত্যি দেখার মতো। কিন্তু ভারত ছেড়ে আইফোন কিনতে দুবাই ছুঁটছে কেন মানুষ? এ প্রশ্ন একবার হলেও সবার মাথায় এসছে। অনেকেই মনে করেন, দুবাইয়ের আইফোনের দাম অত্যন্ত কম, এটাই কি সত্যি? চলুন জানা যাক।

দুবাইয়ের ভারতের থেকে আইফোনের দাম কি কম?

সংযুক্ত আরব আমিরাত/দুবাইয়ে আইফোনের দাম - আইফোন ১৪ দাম শুরু AED ৩৩৯৯ থেকে ৪৬৪৯ পর্যন্ত। যা ভারতীয় অর্থে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার টাকা থেকে ১,০১,০০০ টাকা। যেখানে ভারতে আইফোন ১৪ এর দাম রয়েছে ৭৯,৯০০ টাকা থেকে ১,৩৯,৯০০ টাকা। এর মানে ভারতের তুলনায় দুবাইয়ে আইফোনের দাম ৬ হাজার টাকা থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা সস্তা।

দুবাইয়ে আইফোনের দাম এতোকম কেন?

কম ট্যাক্সের কারণে দুবাইয়ে আইফোন এতো সস্তা বিক্রি হয়।
অনেক দেশ আছে যারা ভারী জিএসটি ট্যাক্স নেয় এবং সেই কারণেই সেসব দেশে ফোনের দাম বেড়ে যায়। দুবাইতে দাম কম হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল এটি একটি শুল্ক-মুক্ত (Duty Free) বন্দর যা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইজকে সস্তা করে তোলে।

ভারত থেকে দুবাইয়ে আইফোন কিনতে যাওয়া কি সঠিক পদক্ষেপ?

এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভাবতে পারেন দুবাইয়ে গিয়ে আইফোন কিনে নিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাহলে আপনাকে জানিয়ে রাখি, এর মধ্যেও রয়েছে কিছু আইনি জটিলতা।

কাস্টমসের বিধি অনুসারে, ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের 'অপ্রয়োজনীয়' (Unnecessary) পণ্য বিমান যাত্রীদের লাগেজ ভাতা হিসাবে অনুমোদিত হয়না। এই বিলাসবহুল পণ্যগুলির উপর ৩৬.০৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের ডিসেম্বার্কেশন কার্ডে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক ঘোষণা দিতে হবে যে তারা শুল্কযোগ্য পণ্য বহন করছে কিনা।

গ্রীন চ্যানেল বা ওয়াকথ্রু চ্যানেল এমন গ্রাহকদের জন্য যাদের ঘোষণা করার মতো কিছুই নেই। যাত্রীরা তাদের অবতরণের কার্ডে মৌখিক ঘোষণার ভিত্তিতে তাদের লাগেজ নিয়ে গ্রীন চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যেতে পারেন। অন্যদিকে, রেড চ্যানেলটি এমন যাত্রীদের জন্য যাদের ঘোষণা করার মতো কিছু আছে বা শুল্কমুক্ত ভাতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করছেন।

যে সমস্ত যাত্রীরা বোঝাতে ব্যর্থ হোন যে তার কাছে ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের পণ্য নেই তাদের ৩৬.০৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, সঙ্গে পণ্যের দামের প্রায় ১০ শতাংশ জরিমানা ভরতে হয়।