‘মেড ইন চায়না' মুছে ভারতীয় খেলনা বলে ডেলিভারি

‘মেড ইন চায়না' মুছে ভারতীয় খেলনা বলে ডেলিভারি

সময় বাংলা ডেস্ক# পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ বিতর্ককে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ডাক উঠেছে চিনা পণ্য বয়কটের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডাক দিয়েছেন 'আত্মনির্ভর' ভারত গড়ার। চিনা সংস্থার সঙ্গে একাধিক চুক্তি-টেন্ডার বাতিল করেছে ভারত সরকার। খোলা বাজার তো বটেই অনলাইনেও যাতে চিনা দ্রব্যের রমরমা রোখা যায় সে বিষয়েও পদক্ষেপ করা হয়েছে। ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কোন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা উল্লেখ করতে হবে সাইটে। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা সরকারি নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ব্যবসা করছে।

চিন থেকে আমদানি করা হয় সামগ্রীতে 'Made-in-China' লেখা মুছে দিয়ে ভারতীয় পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সুমন পাল সম্প্রতি একটি নামী ই-কমার্স সংস্থা থেকে তার মেয়ের জন্য খেলনা অর্ডার করেছিলেন। যথাসময়ে খেলনা ডেলিভারি করা হয় তার বাড়িতে। মেয়েকে খেলতে দেবেন বলে তাড়াহুড়োয় তিনি ওই খেলনার প্যাকেটটি খুলে মেয়েকে খেলতে দেন। পরবর্তীতে তার নজরে আসে খেলনার প্যাকেটের ওপরে একটি জায়গায় কালো কালি দিয়ে কোনও লেখা মুছে দেওয়া রয়েছে। কি মোছা হয়েছে দেখার জন্য প্যাকেটটি খুব কাছে নিয়ে ভালো করে তিনি দেখেন, 'Made in China' লেখাটি কালো কালি দিয়ে দাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চিনা পণ্যকে ভারতীয় হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে অনলাইনে। এই দেখে যথারীতি ক্ষুব্ধ হন সুমন।

খেলনাটি ফেরৎ দিতে চান। কিন্তু রিটার্ন করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি খেলনা গুলি ফেরত দিতে পারেননি। তবে চিনা পণ্য ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে তাঁর। খেলনা গুলি চিনা সংস্থার জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়ের কাছ থেকে খেলনা গুলি সরিয়ে দেন। বর্তমানে খেলনা গুলির ঠাঁই হয়েছে বাড়িতে ফেলা বর্জ্যের পাত্রে। সুমন বলেন, "ভারতীয় কোন সংস্থার তৈরি খেলনা ভেবেই অ্যামাজন থেকে অর্ডার করেছিলাম। সময়মতোই আমার কাছে এসে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েকে খেলার জন্য দিয়ে দিই। প্রথমে কিছুই নজরে আসেনি। পরে প্যাকেটটি ফেলতে গিয়ে দেখি ব্র্যান্ড নেমের পাশে কোনও লেখা কালো কালো দিয়ে দাগানো রয়েছে। ভালো করে খেয়াল করে দেখি Made-in-China লেখাটি ঢাকার জন্য উপর থেকে কালো কালো দিয়ে দাগানো হয়েছে। যখনই জানতে পারি খেলনাটি চিনে তৈরি সঙ্গে সঙ্গে খেলনাগুলো মেয়ের কাছ থেকে নিয়ে ফেলে দিই।"