প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রয়ানে শোকস্তব্ধ জন্মভুমী বীরভূম

নিজস্ব সংবাদদাতা# সোমবার বিকেল ৫.৪৬ মিনিটে প্রয়াত হলেন দেশের প্রাক্তন অর্থ-বিদেশ মন্ত্রী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায়। তার মৃত্যুর খবর প্রথম ট্যুইট করে জানান তার পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। প্রনব বাবুর মৃত্যু সংবাদ পৌছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বীরভূম জেলা জুড়ে। প্রনব বাবুর মৃৃত্যুুর খবর পৌছাতেই তার গ্রামের বাড়ী কীর্নাহারের মিরাটির প্রনব বাবুুর বাসভবনে গ্রাম বাসী তথা এলাকাবাসী এসে ভীড় জমান। তার বাড়ীর সামনে প্রচুর মানুষের জনসমাগম হয়।
তার মৃত্যুর খবর পৌছাতেই তার স্কুল জীবন কাটানো কীর্নাহার হাই স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকা সহ কীর্নাহারের মানুষ থেকে কলেজ জীবন কাটানো বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শোর্কাত তার বন্ধু মহল। প্রনব বাবুর এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে তার অনুগামী সকলেই শোর্কাত। শোর্কাত সাধারন মানুষও। সিউড়ীর বাসিন্দা প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ ইয়াসীন আক্তার, সাঁইথিয়া পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার কংগ্রেস নেতা বরুন ভান্ডারী বলেন, খবর শোনা মাত্র নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। প্রনব বাবুর মৃত্যু খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়াতেও।
সেখানে দেখা যায় শোক প্রকাশ মূলক পোষ্ট। বুধবার তার মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে আনা হবে কিনা বা কখন আনা হবে তা নিয়ে সাধারন মানুষ উৎসুক হয়ে রয়েছে । গত ১০ অগাষ্ট অসুস্হ্য হয়ে দিল্লীর সেনা হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে পান ভারত রত্ন। ১০৮০-৮৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ। ২০০৪-১২ সাল ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর কেন্দ্রের সাংসদ। তাছাড়াও তিনি কখনও অর্থ দফতর কখনও বিদেশ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। ৮৪ বছর বয়সে প্রয়ান ঘটলো বীরভূমের লাভপুর থানার কীর্নাহারের পাশে মিরিটী গ্রামের বীর সন্তানের। যে খবর আসা মাত্রই শোক বিহ্বল বীরভূম।