শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠ ঘিরে বিতর্ক, পথে নামলেন মানুষ

শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠ ঘিরে বিতর্ক, পথে নামলেন মানুষ

মহিউদ্দীন আহমেদ, বোলপুর # এমনটা হতে পারে!  না, কেউ ভাবতেই পারছেন না। বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ সিধান্ত নিয়েছে বোলপুরের ভূবনডাঙ্গা মেলার মাঠ, যেখানে প্রতি বছর পৌষমেলা হয় এবং দেশ বিদেশের লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম হয় সেই মেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘিড়ে দেবার। শনিবার সেই মতো ঠিকাদাররা জেসিবি আর্থ মোভার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। নামানো হয় ইঁট, বালি, পাথরও। সকালে কাজ শুরু হতেই চরম বিক্ষোভ দেখান বোলপুর ব্যাবসায়ী সমিতির সদস্যরা। এক রকম ধাক্কা মেরে তাদের সড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর এহেন সিধান্তে চরম চরম ক্ষুব্দ শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক থেকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরাও। বোলপুর ব্যাবসায়ী সমিতির পক্ষে আমিনুর হোদা বলেন, এটা কি মেনে নেওয়া যায় বলুন?  বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন মানেই খোলা আকাশ, সবুজ পরিবেশ, গাছ পালা, খোলামেলা পরিবেশ। এটাই এখানকার ঐতিহ্য। তা না করে প্রাচীর দিয়ে সব ঘিড়ে ফেলা হচ্ছে। দিন কয়েক আগেও রতনপল্লী এলাকায় প্রাচীর দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেন বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতির প্রাক্তন সদস্য পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত বিলেত ফেরত এক টাকার ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন  জেল খানার মতো পরিবেশ করা হচ্ছে। ভুবনডাঙ্গার মেলার মাঠ ঘিরে দেবার ঘটনায় ক্ষুব্দ সাধারন মানুষও। বোলপুরের বাসিন্দা অরবিন্দ কুমার বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য সংস্কৃতি নষ্ট করা হচ্ছে। 

মেলার মাঠ ঘিরে দেবার বিরুদ্ধে মেলার মাঠ বাঁচাও, শান্তিনিকেতন বাঁচাও নামের একটি মঞ্চ গঠন করা হয়েছে। আজ তারা এর প্রতিবাদে এই মিছিলের ডাক দিয়েছে।