আফ্রিকায় হতে চলেছে ভয়াবহ ম্যালেরিয়া এক ভয়ঙ্কর প্রজাতির মশার দ্বারা

আফ্রিকায় হতে চলেছে  ভয়াবহ ম্যালেরিয়া এক ভয়ঙ্কর প্রজাতির মশার দ্বারা

সময় বাংলা# ম্যালেরিয়া মানেই আতঙ্ক। বর্তমানে ম্যালেরিয়ার টিকা বার হওয়া সত্ত্বেও মনের মধ্যে পুরানো ভয় রয়েই গেছে। মশাবাহিত এই রোগ যে কত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে তা আগেই দেখেছে সারা বিশ্বের মানুষ।এমত অবস্থায়, ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সোমবার একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলাফল অনুযায়ী জানা যায় যে, এশিয়াতে বংশবৃদ্ধি করা এক ধরনের মশার প্রজাতি কয়েক হাজার বছর ধরে, আফ্রিকা মহাদেশের ছড়িয়ে পড়ে সেখানকার নাগরিকদের ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত করছে।

প্রসঙ্গত, গবেষণায় উঠে এসেছে Anopheles Stephens নামে এক মশার প্রজাতি, তাদের মূল বাসস্থান এশিয়ায়। এই মশার প্রজাতি ইট সিমেন্ট দিয়ে বানানো জলের ট্যাংকের ফাটল দিয়ে ভিতরে ঢুকে ডিম পাড়তেও সক্ষম। আর এই মশার প্রজাতির কারণেই আফ্রিকার জিবাউটি শহরে যেখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল না বললেই চলে, সেখানে ম্যালেরিয়া ২০১২ সালে মহামারীর আকার নেয়। 

এরপর ইথিওপিয়া, সুদানেও তা ছড়িয়ে যায়। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে এই মশার প্রজাতি বংশবিস্তার করতে ভাল পারে শহরের ঘনসন্নিবিষ্ট জায়গায় যেখানে গরম বেশি এবং বৃষ্টি যথেষ্ট হয়। বর্তমানে আফ্রিকার ৪৪ টি শহর উক্ত মশাদের প্রিয় বাসস্থান। এমনিতে আফ্রিকার মশারা মানুষকে কামড়ায় যখন রাত হয়ে চারিদিক ঠান্ডা হয়ে আসে তারপর। কিন্তু Anopheles Stephens যখন সন্ধ্যাবেলায় গরম থাকে সেই সময় কামড়ায়, বলতে গেলে মুশারি যেই সময় কোন কাজেই আসেনা। এই মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায় হ,ল ঘরের দেওয়াল কীটনাশক তরল দিয়ে ভিজিয়ে রাখা এবং শরীর সম্পূর্ণ ঢেকে রাখা।

২০১৮ সালে আফ্রিকার ৪০০,০০০ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল এই মারণ রোগ ম্যালেরিয়া। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু। Anopheles gambiae মশার প্রজাতিই ছিল প্রধান কারণ আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু এই মশার বিশেষ প্রজাতি শহরের নোংরা জমা জল অপছন্দ করে এবং শহরাঞ্চলের পরিষ্কার জলে ্ও ডিম পারে না। এই কারণে আফ্রিকার গ্রামগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার বাসা হয়ে উঠেছে।

আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে গবেষকদের মতামত, মশার লার্ভা নষ্ট করতে গেলে জমানো জল অবশ্যই ফেলে দেওয়া দরকার। জলের ট্যাঙ্ক শক্তপোক্ত বানানো প্রয়োজন যাতে সহজেই ফাটল না ধরে এবং মশার দল কোনোমতেই বংশবিস্তার করতে না পারে।