কীভাবে কমাবেন সন্তানের মিথ্যে কথা বলার প্রবণতা

সময়বাংলা# মনোবিদদের মতে বাচ্চাদের মিথ্যে কথা বলার প্রবণতাকে এক দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। কোন বাচ্চা কল্পনাপ্রবণ, আর কোন বাচ্চা বিশেষ উদ্দেশ্য়ে মিথ্যে বলছে তা আগে বুঝুন। কারণে-অকারণে মিথ্যে বলার প্রবণতা কিন্তু বড় কোন বিহেভিয়াল প্রবলেমের ইঙ্গিত।
দেখুন বাচ্চারা কেন মিথ্যে বলে
- কোনও কোনও বাচ্চা ভীষণ কল্পনাপ্রবণ।
- কোন বাচ্চা বিশেষ উদ্দেশ্য়ে থেকে মিথ্যে বলে যেমন- হয়তো তার সেদিন হোম ওয়ার্ক হয়নি সেদিন স্কুল না যাওয়ার জন্য় সে পেটে ব্য়থা,মাথা ব্য়থা বলতেই পারে।
- মা-বাবা খুব রাগী হলেও অনেকে মিথ্যে বলে।
- বাচ্চারা দেখে শেখে। তাই বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যে বলে বাচ্চারাও মিথ্যে বলতে শিখবে।
- বড়োদের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও বাচ্চারা মিথ্যে বলে।
মিথ্যে রুখতে কী করবেন?
১) বাচ্চারা যা দেখে তাই শেখে তাই নিজেকে আগে সংশোধন করুন।
২) বাচ্চার মিথ্যে 'ধরা' পড়ে গেলে মারধর করবেন না। বোঝান কারণে-অকারণে মিথ্যে বলতে নেই। যারা কল্পনাপ্রবণ তাদের কথাকে মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন।
৩) মনোবিদদের মতে ৬ বছর বয়সের পর বাচ্চাদের সুপার ইগোর বিকাশ ঘটে। তার ফলে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এই সময় নীতিকথামূলক গল্প শোনান।
বাচ্চাদের সত্য় কথা বলার শিক্ষা অবশ্য়ই দেবেন তবে একটু বড় হলে, মতামত দেওয়ার সময় যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়,সেটা ওকে বুঝিয়ে দেওয়া ভাল।