অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে নতুনভাবে আসছে ভারতীয় রেল

অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে নতুনভাবে আসছে ভারতীয় রেল

আজ বাংলা# ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ১০৯টি ১৫১টি প্রাইভেট ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেশ কয়েক মাস আগেই। এনিয়ে রেলের তরফ থেকে একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিও বের করা হয়েছিল। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় এই ট্রেনগুলি তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। প্রাইভেট এই ট্রেনগুলিতে অত্যাধুনিক অজস্র সুবিধা থাকবে বলেও জানিয়েছিল রেল দপ্তর।

আর টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি মত বুধবার এই সকল প্রাইভেট ট্রেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য একটি প্রি অ্যাপ্লিকেশন মিটিং হয়। যে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল বোম্বার্ডিয়ার, অলস্টোম, সিমেন্স এবং জিএমআর-এর মত প্রায় ২৩টি নামী সংস্থা। আর এই মিটিং এই বেসরকারি ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত ও নিয়মাবলী দেওয়া হয় রেল দপ্তরে তরফ থেকে। এই শর্ত ও নিয়মাবলীর মধ্যেই রয়েছে এই সকল প্রাইভেট ট্রেনের ১০টি সুবিধার কথা।

১) প্রতিটি ট্রেনে থাকতে হবে শক্তপোক্ত কাঁচ দিয়ে তৈরি স্লাইডিং দরজা ও জানালা। দরজার ক্ষেত্রে মেট্রোরেলের মত সেনসরিং পদ্ধতি থাকবে। অর্থাৎ ট্রেনের দরজা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলবে না। অন্যদিকে আবার আপাতকালীন পরিস্থিতিতে দরজা খোলার মত ব্যবস্থাও থাকবে। প্রতিটি কোচে অন্তত চারটি অটোমেটিক দরজা থাকতে হবে।

২) ট্রেনগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার। তবে এই সর্বোচ্চ গতিবেগেও যেন ট্রেনগুলি শব্দ এবং ঝাঁকুনিহীন হয়। অর্থাৎ আরামদায়ক যাত্রার আনন্দ থাকবে ট্রেনগুলিতে।

৩) অন্যান্য ট্রেনের মত এই ট্রেনগুলিতেও থাকতে হবে এমার্জেন্সি ব্রেকিং সিস্টেম। যাতে আপাতকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা ট্রেন থামাতে পারেন।

৪) ট্রেনের প্রতিটি কামড়াতে থাকবে সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডের পাশাপাশি থাকতে হবে ব্রেইল বোর্ডও। যাতে করে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা এই ট্রেনগুলিতে সফর করাকালীন কোনরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন।

৫) প্লেনের মত এই ট্রেনের কামরাগুলিতে থাকবে স্পিকার সিস্টেম। আর সেই স্পিকার সিস্টেমের মাধ্যমে ট্রেনের চালক সরাসরি যাত্রীদের নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবেন।

৬) প্রতিটি ট্রেনের কামরা এবং বাইরে থাকবে ডিসপ্লে। যাতে জানানো হবে স্টেশন এবং অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য।

৭) প্রাইভেট এই ট্রেনগুলিতে যাত্রী সুরক্ষায় কোনরকম খামতি রাখা হবে না। যে কারণে প্রতিটি কামড়াতে লাগানো থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রতিটি কামড়ায় থাকবে অন্তত ৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা।

৮) প্রতিটি ট্রেন এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে যেন এগুলি কমকরে ৩৫ বছর সমানভাবে পরিষেবা দিতে পারে।

৯) প্লেনের মত যাত্রীদের বিনোদনের ক্ষেত্রে যাত্রীর সামনে এলইডি টিভি থাকবে বলেও জানা গিয়েছে।

১০) ট্রেনগুলিকে সবসময় সঠিক সময়সূচি মেনে চলতে হবে। দেরি হলেই ট্রেনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে যাত্রীদের ফাইন দিতে হবে।