প্যাংগং -এর পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে! এমনটাই বলছে উপগ্রহ চিত্র

প্যাংগং -এর পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে! এমনটাই বলছে উপগ্রহ চিত্র

সময় বাংলা# ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে প্যাংগং।গত সোমবারের উপগ্রহ চিত্র এমনটাই জানাচ্ছে।প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে পিছু হাঁটার পর এবার হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার এরিয়ায় আগ্রাসী  ভূমিকা পালন করছে চিনা ফৌজ।ফের তারা ফিরে এসেছে সেখানকার ফিঙ্গার এরিয়া ৪ এ।

এখানেই থেমে নেই বেজিংয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে  ‘ম্যাক্সার টেকনোলজিস’-এর উপগ্রহ ছবি।সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়েছিল জুলাইয়ের গোড়ায় চিন এবং ভারতের মধ্যে।সেই সময় চিনা সেনারা ফিঙ্গার এরিয়া ৪ থেকে শিবির তুলে পিছিয়ে গিয়েছিল।কিন্তু উপগ্রহ চিত্র বলছে ফের তারা শক্তি বাড়াতে ফিরে এসেছে।এখন দেখা যাচ্ছে সেখানে দেড় কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে চিনা পোস্ট শিবির গঠন করেছে।গোটা কুড়ি   ‘হাই মবিলিটি মাল্টিপারপাস হুইল্‌ড ভেহিক্‌ল’ (হাম্ভি) এবং সারি সারি সেনা পরিবহন দেখা যাচ্ছে সেখানে।অথচ আলোচনার পর জুলাই শুরুর দিকেই প্যাংগং-এর  ওই এলাকা থেকে শিবির তুলে পিছু হেঁটেছিল চিনা সেনারা।

এখানেই থেমে নেই চিনা সেনা প্যাংগং-এর উত্তরে ফিঙ্গার এরিয়া ৮ থেকে ফিঙ্গার এরিয়া ৫ এর মধ্যে রাস্তা এবং পাকাপোক্ত শিবির গড়ে তোলার তৎপরতা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে।চিনা সংস্থার মেংশির তৈরি মেশিনগান সজ্জিত ‘হাম্ভি’ পার্বত্য পার্বত্য এলাকায় দ্রুত যাতায়াত এবং লড়াইয়ের উপযোগী।চিনা ফৌজ এর উদ্দেশ্য এখন কি সেই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।চিনা সেনার তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে দক্ষিণে এলএসি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, উপগ্রহ চিত্রে তার প্রমাণ দেখা যায়নি।এমনকি এলআইসি লাগোয়া হেলমেট সেনা উপস্থিতি কার্যত দেখা যায়নি।তবে পাহাড়ের নিচে পিপলস লিবারেশন আর্মির ঘাঁটির ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে।সেনা সূত্রে খবর ৩০ অগাস্ট এর পর থেকে প্যাংগং  হ্রদের দক্ষিনে অনেকগুলি উঁচু এলাকায় এখন ভারতীয় ফৌজের ঘাঁটি। 

থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে কালা টপ এলাকা থেকে রেচিন পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা।সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মুকপরী এবং রেজাংলাতেও ভারতীয় সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদের দক্ষিণে শঙ্কুর লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনী অনেকটাই এসেছে নাগালে।