অ্যাম্বুল্যান্স চার্জ নির্দিষ্ট করে দিক রাজ্য, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

অ্যাম্বুল্যান্স চার্জ নির্দিষ্ট করে দিক রাজ্য, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সময় বাংলা# করোনা মহামারীর ভয়ঙ্কর প্রকোপে যখন সারাবিশ্ব টালমাটাল সেইসময়েও মানুষের লোভের যে শেষ নেই তার বিস্তর প্রমাণ মেলে। করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালের বেড না-পাওয়া চিকিৎসার আকাশছোঁয়া খরচ সবই সামলাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর সাথে সাথে নতুন করে উদ্ভাবন হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স সমস্যা। করোনা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার কারণে বা পেলেও তার প্রচুর ভাড়া গোনার কারণে। 

অ্যাম্বুল্যান্সের এইরূপ অব্যবস্থার দৌরাত্ম্যকে এবার রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রতিটি রাজ্য কে অ্যাম্বুল্যান্সের চার্জ বেঁধে দেয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'আর্থ' নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে দায়ের করা জনস্বার্থের মামলার শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের চার্জ সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়ার। করোনা মহামারীর মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় সহজে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাজ্যগুলিকে করতে বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ সেই নির্দেশিকার প্রসঙ্গ টেনে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া বেঁধে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেন।

উল্লেখ্য, কলকাতাতেও অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছিল কদিন আগেই। সল্টলেকের একটি হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে দিতে ৮০০০ টাকা দাবি করা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সের তরফ থেকে। এইরূপ ছবি গোটা দেশেই কোথাও না কোথাও দেখা যাচ্ছেই। চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকের মতে, করোনা রোগীর জন্য সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স যা আছে তা যথেষ্ট নয়; তাই বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সই মানুষের ভরসা। আর সেই সুযোগই নিচ্ছে কিছু অসৎ মানুষ।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশনা জারির পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কি মতামত? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, 'আদালতের রায়ের কপি না দেখে মন্তব্য করব না।'