ফের রেফারিংয়ের জেরে কাঠগড়ায় আর. জি. কর. মেডিক্যাল কলেজ

ফের রেফারিংয়ের জেরে কাঠগড়ায় আর. জি. কর. মেডিক্যাল কলেজ

সময় বাংলা# সংকটময় রোগীর রেফারিংয়ের ফলে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আগেও বহুবার দেখা গেছে। তবে এবার করোনা মহামারী আবহকাল এ ফের কাঠগড়ায় উঠে এসেছে আরজি কর এবং মেডিক্যাল কলেজের নাম। পূর্বেই জানা গিয়েছিল গর্ভস্থ সন্তান মারা গেছে তার পরেও মৃত সন্তান প্রসব না করিয়েই কেন রেফার করা হলো করণা আক্রান্ত প্রসূতিকে সে প্রশ্নে কাঠগড়ায় আরজি কর হাসপাতাল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। প্রসূতির পরিজনের অভিযোগ, সংকটজনক ওই প্রসূতিকে মেডিক্যালে রেফার করার পর তিনদিন প্রসব করানো হয়নি সেখানে, শেষ পর্যন্ত গর্ভের সন্তান প্রসব করানো হলেও তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় মৃত্যু হয় ওই প্রসূতিরও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রবিবার খুব দেখতে পাওয়া যায় মেডিক্যাল কলেজে। লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের না হলেও আরজি কর এবং মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

দমদম ক্যান্টনমেন্ট এর বাসিন্দা ওই প্রসূতি ভর্তি হন আরজি করে ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ৮ তারিখে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং তরুনীর শরীরে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এরপরেই স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জানা যায় তার গর্ভস্থ সন্তান আর বেঁচে নেই। কিন্তু আরজি করে তার অপারেশন না করে তাকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তিন দিন কাটিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর মেডিক্যালে তরুণীর মৃত সন্তান প্রসব করানো পরই মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয় উক্ত তরুনীর।

এই বিষয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানান, করোনা আক্রান্ত প্রসূতির স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই তাঁকে স্থিতিশীল করার তিন দিন পর প্রসব করানো হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তরুণীকে এরপরেও বাঁচানো যায়নি। অন্যদিকে, আরজিকর কর্তৃপক্ষ জানান, আরজি কর কোভিড হাসপাতাল না হলেও সংকটজনক পরিস্থিতিতে আইসোলেশন লেবার রুম ও ওটি-র ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। কেন এক্ষেত্রে তরুণীর প্রসব না করিয়ে, রেফার করে দেওয়া হল মেডিক্যালে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।