"অর্থনৈতিক ভাবে কংগ্রেসকে নিষ্কৃয় করার চেষ্টা করছে মোদির সরকার", অভিযোগ রাহুল-সনিয়ার!

"অর্থনৈতিক ভাবে কংগ্রেসকে নিষ্কৃয় করার চেষ্টা করছে মোদির সরকার", অভিযোগ রাহুল-সনিয়ার!

দিন কয়েক আগেই অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তাঁদের দলকে অর্থনৈতিক ভাবে পর্যুদস্ত করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ তার কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি এমনই দাঁড়াল যে একই সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করতে হল, সনিয়া, রাহুল এবং খাড়্গেকে৷ তারপর, কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি৷

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি বলেন, ‘‘যে বিষয়ে আজ আমরা কথা বলব, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা শুধুমাত্র যে জাতীয় কংগ্রেসের বিষয় তা নয়, এটা ভারতের গণতন্ত্রের বিষয়৷ প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার একটা সিস্টেম্যাটিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ জনগণের কাছ থেকে তোলা তহবিল ফ্রোজ করে দেওয়া হচ্ছে, আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জোর করে তুলে নেওয়া হচ্ছে৷’’

গত মাসেই কংগ্রেস জানিয়েছিল, আয়কর দফতর তাদের ১১৫ কোটি টাকা ফ্রোজ করে দিয়েছে৷ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২১০ কোটি টাকা কর অনাদায়ে আয়কর দফতর উক্ত পদক্ষেপ করেছিল বলে অভিযোগ৷

তার কিছুদিন পরেই কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন অভিযোগ তোলেন, কংগ্রেসের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ফের ৬৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রোজ যাতে না করা হয়, তা নিয়ে Income Tax Appellate Tribunal-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু, ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন খারিজ করে৷

এদিন সনিয়া বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতেও যাবতীয় বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে, নির্বাচনী বন্ডও বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট৷ আমরা জানি, নির্বাচনী বন্ডে ভয়ঙ্কর ভাবে লাভ তুলেছে বিজেপি৷ অথচ, শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলিকেই অপদস্থ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ যা এক কথায় অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক৷’’৷