বিজ্ঞানী নয়, স্বর্নকার বলে দিল সায়ানাইডের স্বাদ

বিজ্ঞানী নয়, স্বর্নকার বলে দিল সায়ানাইডের স্বাদ
নিউজ বাংলা ডেস্ক# ২০০৬ সাল, ভারতের কেরালা রাজ্যের পালাক্কাদ জেলা। পুলিশের কাছে খবর আসলো প্রসাদ নামক এক স্বর্ণকার আত্মহত্যা করেছেন। কারণ? নকল সোনার গহনা কিনেছিলেন কয়েকদিন আগে, আর এটি কিনতে গিয়েই ব্যাংকের কাছ থেকে ধার করতে হয়েছিল তাকে। শেষমেশ নকল গহনার মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এই স্বর্ণকার।
তবে মৃত্যুর আগে প্রসাদ এক অভাবনীয় কাজ করে গিয়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন বিজ্ঞানের এতদিনের কিংবদন্তী, যে কেউ সায়ানাইডের স্বাদ বলতে পারেনি। প্রসাদ যে সায়ানাইডের স্বাদ গ্রহণ করে তা শুধু লিখে গিয়েছেন তা-ই নয়, বরং ডাক্তারদের উদ্দেশ্যেও ছোট একটা নোট লিখে গিয়েছেন, এবং ঠিক তারপরেই মারা গিয়েছেন।
প্রসাদকে সায়ানাইড পাওয়ার জন্য দূরে কোথাও যেতে হয়নি, সোনা নিষ্কাশনের জন্য সায়ানাইড একটি বহুল ব্যবহৃত পদার্থ। প্রসাদ সায়ানাইড বেশ বড় একটা পাত্রে রেখে তার মধ্যে কিছুটা অ্যালকোহল ঢেলে দেন, এরপর লেখার কলমের পিছন দিকটার সামান্য অংশ তাতে চুবিয়ে নিলেন। তারপর কলমে জিহ্বা লাগিয়েই তার চিঠি লেখা শুরু করলেন, বিষ টির স্বাদ কটূ (achird) প্রকৃতির, এবং জিভ কে সাথে সাথেই অসাড় শক্ত করে দেয়।
প্রসাদের ময়না তদন্তকারী ডাক্তার পিবি গুজরাল মন্তব্য করেছেন, “আমরা এখন জানতে পারলাম যে সায়ানাইডের স্বাদ কেমন। তার সুইসাইড নোটটা একটা দলিল। এর আগে কেউ বলে যেতে পারেনি সায়ানাইডের স্বাদ আসলে কেমন।” প্রসাদের এই কাজের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রসাদের পরিবারের জন্য প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা প্রদান করার ঘোষণা করে।