ভোট প্রদানের হারে কোন জেলা এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে

ভোট প্রদানের হারে কোন জেলা এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে

 শনিবার ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Electiomn) ভোটগ্রহণের দিন(Pooling Day)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছিল সেই ভোটদানের পালা। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছিল ভোটগ্রহণের সময়সীমা। যদিও তারপরেও বেশ কিছু বুথে ভোটগ্রহণ চলে বুথের বাইরে লাইনে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকায়।

রাজ্যের নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission) এদিন বিকালে জানায় যে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই স্পষ্ট হয়েছে কোন জেলায় ঠিক কত শতাংশ ভোট পড়েছে। দেখা যাচ্ছে ভোটপ্রদানের হারে সব থেকে বেশি এগিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলা। তারপরেই আছে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) এবং তৃতীয় স্থানে আছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম(Birbhum)।

কমিশনের তরফে পাওয়া তথ্য বলছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে প্রদত্ত ভোটের হার ৭৯.১৫ শতাংশ। তারপরেই আছে পূর্ব বর্ধমান। সেই জেলায় ভোট পড়েছে ৬৮.৯০ শতাংশ। বীরভূমে ভোট পড়েছে ৬৮.৮৮ শতাংশ। এরপর একে একে রয়েছে নদিয়া (৬৮.৭২), উত্তর ২৪ পরগণা (৬৭.৮৮), হাওড়া (৬৭.৫৮), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৭.২৩), মুর্শিদাবাদ (৬৫.৯৫), পশ্চিম বর্ধমান (৬৫.৮৫), হুগলি (৬৫.৪৩), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৬৫.৪০), ঝাড়গ্রাম (৬৪.২৬), কোচবিহার (৬৩.৮৪), মালদা (৬৩.৪৪), আলিপুরদুয়ার (৬৩.১১), জলপাইগুড়ি (৬২.২৪), দক্ষিন দিনাজপুর (৬১.৯৩), পুরুলিয়া (৫৯.৮৫), বাঁকুড়া (৫৯.৮৩), উত্তর দিনাজপুর (৫৬.৮৭) এবং কালিম্পং জেলা (৫৬.৪৯)। তবে রাত পর্যন্ত দার্জিলিং জেলার ভোট প্রদানের হার জানা যায়নি।

এদিনের ভোট প্রদানের হার দেখে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, গত বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে যে হারে ভোট পড়েছে, তার থেকে অনেকটাই কম পড়েছে গ্রামের ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ জনমত বাক্স বন্দী হয়েছিল। এবারে বেশিরভাগ জেলাতেই ৬০ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়তে দেখা গিয়েছে। কেন কমল পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের হার? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কারণের তালিকায় প্রথমেই রাখছেন হানাহানির বিষয়টি। প্রাণ হাতে করে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে রাজ্যের এক অংশের মানুষ। ভোট আগে না প্রাণ আগে সেই ভেবেই বুথমুখী হয়নি অনেকেই।